Monday, 11 June 2012
Sunday, 10 June 2012
পবিত্র ক্বোরান শুনুন আপনার ব্লগ থেকে
প্রথমে সবাইকে সালাম ও শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি প্রথমে আপনি আপনার
ব্লগে লগিন করুন এবং ডিজাইনে ক্লিক করুন তারপর আপনার পছন্দ মত যে যায়গায়
আপনি গ্যাজেট যুক্ত করতে চান সেই জায়গায় ক্লিক করুন তারপর HTML/JavaScript
এর ঘরে কোড গুলো কপি করে পেস্ট করুন কোড: <script
type=”text/javascript”
src=”http://cdn.widgetserver.com/syndication/subscriber/InsertWidget.js”></script><script
type=”text/javascript”>if (WIDGETBOX)
WIDGETBOX.renderWidget(‘c92dd2bb-821b-49d7-975f-e3491657a1ab’);</script>
<noscript>Get the <a...
বাকি অংশ »
বাকি অংশ »
Saturday, 9 June 2012
ভালবাসা এবং কিছু আবেগের গল্প
৯ জুলাই ২০১১-তে শুরু হয়েছিল আমাদের পথচলা। নিতান্তই ছেলেমানুষি খেয়ালে গড়ে
তোলা এই পেজটি আপনাদের সহযোগিতা এবং ভালবাসায় আজ চলে এসেছে এতোটা দূর।
একজন, দুজন করে আজ আমাদের সাথে জড়িয়ে গেছেন প্রায় ৩২ হাজার মানুষ। আগামী ৯
জুলাই আপনাদের+আমাদের প্রিয় “ভালবাসা এবং কিছু আবেগের গল্প”-এর ১ম জন্মদিন।
বিশেষ এই দিনটা কিছুটা বিশেষভাবেই উদযাপন করতে চাই আপনাদের সাথে। এজন্যই
আমরা আয়োজন করতে যাচ্ছি “১ম বর্ষপূর্তির বিশেষ গল্প লেখা প্রতিযোগিতা।”
প্রতিযোগিতার জন্য গল্প পাঠানোর শেষ তারিখ ২০ জুন ২০১২. আপনাদের পাঠানো গল্প থেকে বিচারকরা বাছাই করবেন সেরা ১০টি গল্প। ১ জুলাই থেকে ৫ জুলাই পর্যন্ত এই গল্পগুলো পেজে দেওয়া হবে। এই ১০টি গল্প থেকে সেরা গল্পটি বাছাইয়ের ক্ষেত্রে ৫০% মার্ক দেওয়া হবে পাঠকদের ভোট (লাইক) থেকে এবং ৫০% মার্ক থাকবে বিচারকদের হাতে। আর পাঠকদের ভোট এবং বিচারকদের নম্বর থেকে বাছাইকৃত বিজয়ী গল্পটির লেখকের জন্য থাকবে পেজের পক্ষ থেকে পুরস্কার।
এবারের প্রতিযোগিতায় বিচারকমণ্ডলীতে থাকছেন-
→ব্লগার রিয়েল ডেমোন (হাফিজুর রহমান রিক)
→ব্লগার নীরব ০০৯ (কৃষ্ণ কুমার গুপ্তা)
→ব্লগার মেঘ_মেঘা (Ipshita Ishika)
→বর্ষণ অপ্সরী (তিশা বিশ্বাস)
কিছু নিয়মাবলীঃ
→গল্প পাঠাতে হবে abegmoyvalobasha@gmail.com এই ইমেইল এড্রেসে অথবা পেজের ইনবক্সে অথবা http://www.facebook.com/ valobasa.abegmoy এই আইডিতে।
→প্রতিযোগিতার জন্য পাঠানো গল্পের উপর অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে “১ম বর্ষপূর্তির বিশেষ গল্প লেখা প্রতিযোগিতা।” না হলে গল্পটি প্রতিযোগিতার জন্য গণ্য হবে না।
→বাছাইকৃত কোন গল্প যদি অন্য কোন পেজে প্রকাশিত হয় তাহলে তা বাতিল বলে গণ্য হবে।
→২০ জুনের পরে আর কোন গল্প প্রতিযোগিতার জন্য পাঠানো যাবে না।
বি.দ্র. যে লেখাগুলো সেরা ১০-এর ভেতর আসবে না, সেগুলো প্রকাশযোগ্য হলে পর্যায়ক্রমে পেজে প্রকাশ করা হবে।
ধন্যবাদ...
প্রতিযোগিতার জন্য গল্প পাঠানোর শেষ তারিখ ২০ জুন ২০১২. আপনাদের পাঠানো গল্প থেকে বিচারকরা বাছাই করবেন সেরা ১০টি গল্প। ১ জুলাই থেকে ৫ জুলাই পর্যন্ত এই গল্পগুলো পেজে দেওয়া হবে। এই ১০টি গল্প থেকে সেরা গল্পটি বাছাইয়ের ক্ষেত্রে ৫০% মার্ক দেওয়া হবে পাঠকদের ভোট (লাইক) থেকে এবং ৫০% মার্ক থাকবে বিচারকদের হাতে। আর পাঠকদের ভোট এবং বিচারকদের নম্বর থেকে বাছাইকৃত বিজয়ী গল্পটির লেখকের জন্য থাকবে পেজের পক্ষ থেকে পুরস্কার।
এবারের প্রতিযোগিতায় বিচারকমণ্ডলীতে থাকছেন-
→ব্লগার রিয়েল ডেমোন (হাফিজুর রহমান রিক)
→ব্লগার নীরব ০০৯ (কৃষ্ণ কুমার গুপ্তা)
→ব্লগার মেঘ_মেঘা (Ipshita Ishika)
→বর্ষণ অপ্সরী (তিশা বিশ্বাস)
কিছু নিয়মাবলীঃ
→গল্প পাঠাতে হবে abegmoyvalobasha@gmail.com এই ইমেইল এড্রেসে অথবা পেজের ইনবক্সে অথবা http://www.facebook.com/
→প্রতিযোগিতার জন্য পাঠানো গল্পের উপর অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে “১ম বর্ষপূর্তির বিশেষ গল্প লেখা প্রতিযোগিতা।” না হলে গল্পটি প্রতিযোগিতার জন্য গণ্য হবে না।
→বাছাইকৃত কোন গল্প যদি অন্য কোন পেজে প্রকাশিত হয় তাহলে তা বাতিল বলে গণ্য হবে।
→২০ জুনের পরে আর কোন গল্প প্রতিযোগিতার জন্য পাঠানো যাবে না।
বি.দ্র. যে লেখাগুলো সেরা ১০-এর ভেতর আসবে না, সেগুলো প্রকাশযোগ্য হলে পর্যায়ক্রমে পেজে প্রকাশ করা হবে।
ধন্যবাদ...
Friday, 8 June 2012
নতুন সেনাপ্রধান ইকবাল করিম
ঢাকা, জুন ০৭ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- মোহাম্মদ আব্দুল মুবীনের
উত্তরসূরী হিসেবে সেনাবাহিনীর কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল লেফটেন্যান্ট
জেনারেল ইকবাল করিম ভূঁইয়াকে নিয়োগ দিয়েছে সরকার।
বঙ্গভবনের একটি সূত্র বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছে, বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত আদেশে সই করেন।
একইসঙ্গে বর্তমান সেনাপ্রধান আব্দুল মুবীনের চাকরির মেয়াদ আরো ১০ দিন বাড়ানো হয়েছে বলে রাষ্ট্রপতির সচিব শফিউল আলম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান।
পদাতিক বাহিনীর কর্মকর্তা ইকবাল বর্তমান সেনাপ্রধান জেনারেল মুবীনের সঙ্গেই ১৯৭৬ সালের নভেম্বরে বিএমএর তৃতীয় কোর্সের ক্যাডেট হিসাবে সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। জাতিসংঘ মিশনে কমান্ডার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।
বহুল আলোচিত ‘ওয়ান-ইলেভেনের’ পর এক পর্যায়ে নবম পদাতিক ডিভিশনের অধিনায়ক করা হয়েছিল ইকবাল করিমকে। ২০১০ সালের মে মাসে তিনি পদোন্নতি পেয়ে লেফটেন্যান্ট জেনারেল হন।
তিন বছর আগে সেনাপ্রধান হিসাবে নিয়োগ পাওয়া জেনারেল মুবীনের চাকরির মেয়াদ ফুরিয়ে আসার আগে ওই পদের জন্য ইকবালসহ কয়েকজনের নাম আলোচনায় উঠে আসে।
তাদের মধ্যে ছিলেন সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেনেন্ট জেনারেল আব্দুল ওয়াদুদ, ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের কমান্ডেন্ট লেফটেনেন্ট জেনারেল মোল্লা ফজলে আকবর, সেনাসদরের চিফ অফ জেনারেল স্টাফ ও অর্ডনেন্স কোরের কর্নেল কমান্ডেন্ট লেফটেনেন্ট জেনারেল মো. মইনুল ইসলাম।
এদের মধ্যে থেকে দেশের ত্রয়োদশ সেনাপ্রধান হিসেবে কুমিল্লার বাসিন্দা ইকবালকেই বেছে নিল সরকার। আগামী ২৫ জুন তিনি চার তারকা জেনারেল হিসাবে নতুন দায়িত্বে যোগ দেবেন।
মেধাবী ও চৌকস কর্মকর্তা হিসেবে পরিচিত ইকবালের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের মধ্যে বর্তমানে বাহিনীতে আছেন লেফটেনেন্ট জেনারেল আব্দুল ওয়াদুদ। তিনি ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের কর্মকর্তা। লেফটেনেন্ট জেনারেল ফজলে আকবর গোলন্দাজ বাহিনীর কর্মকর্তা।
এছাড়া ইকবালের এক ব্যাচ জুনিয়র বিডিআরের সাবেক মহাপরিচালক লেফটেনেন্ট জেনারেল মইনুল ইসলাম চৌধুরী ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের কর্মকর্তা।
বঙ্গভবনের একটি সূত্র বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছে, বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত আদেশে সই করেন।
একইসঙ্গে বর্তমান সেনাপ্রধান আব্দুল মুবীনের চাকরির মেয়াদ আরো ১০ দিন বাড়ানো হয়েছে বলে রাষ্ট্রপতির সচিব শফিউল আলম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান।
পদাতিক বাহিনীর কর্মকর্তা ইকবাল বর্তমান সেনাপ্রধান জেনারেল মুবীনের সঙ্গেই ১৯৭৬ সালের নভেম্বরে বিএমএর তৃতীয় কোর্সের ক্যাডেট হিসাবে সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। জাতিসংঘ মিশনে কমান্ডার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।
বহুল আলোচিত ‘ওয়ান-ইলেভেনের’ পর এক পর্যায়ে নবম পদাতিক ডিভিশনের অধিনায়ক করা হয়েছিল ইকবাল করিমকে। ২০১০ সালের মে মাসে তিনি পদোন্নতি পেয়ে লেফটেন্যান্ট জেনারেল হন।
তিন বছর আগে সেনাপ্রধান হিসাবে নিয়োগ পাওয়া জেনারেল মুবীনের চাকরির মেয়াদ ফুরিয়ে আসার আগে ওই পদের জন্য ইকবালসহ কয়েকজনের নাম আলোচনায় উঠে আসে।
তাদের মধ্যে ছিলেন সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেনেন্ট জেনারেল আব্দুল ওয়াদুদ, ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের কমান্ডেন্ট লেফটেনেন্ট জেনারেল মোল্লা ফজলে আকবর, সেনাসদরের চিফ অফ জেনারেল স্টাফ ও অর্ডনেন্স কোরের কর্নেল কমান্ডেন্ট লেফটেনেন্ট জেনারেল মো. মইনুল ইসলাম।
এদের মধ্যে থেকে দেশের ত্রয়োদশ সেনাপ্রধান হিসেবে কুমিল্লার বাসিন্দা ইকবালকেই বেছে নিল সরকার। আগামী ২৫ জুন তিনি চার তারকা জেনারেল হিসাবে নতুন দায়িত্বে যোগ দেবেন।
মেধাবী ও চৌকস কর্মকর্তা হিসেবে পরিচিত ইকবালের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের মধ্যে বর্তমানে বাহিনীতে আছেন লেফটেনেন্ট জেনারেল আব্দুল ওয়াদুদ। তিনি ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের কর্মকর্তা। লেফটেনেন্ট জেনারেল ফজলে আকবর গোলন্দাজ বাহিনীর কর্মকর্তা।
এছাড়া ইকবালের এক ব্যাচ জুনিয়র বিডিআরের সাবেক মহাপরিচালক লেফটেনেন্ট জেনারেল মইনুল ইসলাম চৌধুরী ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের কর্মকর্তা।
সব দিক সামাল দিতে সতর্ক বাজেট
আবদুর রহিম হারমাছি
প্রধান অর্থনৈতিক প্রতিবেদক
ঢাকা, জুন ০৭ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- সরকারের শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেটে সব দিক সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, যার ফলে বিভিন্ন খাতে অর্থ বরাদ্দ রাখতে গিয়ে ৫২ হাজার কোটি টাকা ঘাটতি থাকছে।
১ লাখ ৯১ হাজার ৭৩৮ কোটি টাকার এই বাজেটকে উচ্চাভিলাষী বলছে না প্রধান বিরোধী দল বিএনপিও। তবে তাদের সঙ্গে মহাজোট শরিক দলগুলোর কণ্ঠেও এর বাস্তবায়ন নিয়ে সংশয়ের সুর দেখা গেছে। অর্থনীতিবিদরাও বাস্তবায়নকেই চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন।
এই বাজেটে সার্বিক প্রবৃদ্ধির হার ১ শতাংশ বাড়ানোর লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে। অন্যদিকে মূল্যস্ফীতির হার ৩ শতাংশ কমিয়ে আনার আশা করা হয়েছে। যা একটি বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা।
প্রস্তাবিত বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীতে বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে, যাতে গ্রামের দরিদ্র্য মানুষের খুশি হওয়ার উপাদান রয়েছে। অন্যদিকে পুঁজিবাজারের স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যের কথাও বলা হয়েছে। দেশীয় শিল্প সংরক্ষণে রয়েছে নানা পদক্ষেপ।
অন্যদিকে আগামী জাতীয় নির্বাচনের দেড় বছর আগে দেওয়া এই বাজেটে কালো টাকা ঢালাওভাবে সাদা করার সুযোগ রাখার প্রস্তাব রেখেছেন অর্থমন্ত্রী, যার সমালোচনা ছিল দীর্ঘদিন ধরে; এমনকি অর্থমন্ত্রী নিজেকে এর বিরোধী বলে দাবি করলেও তারই স্বীকারোক্তি- অনেক কিছুর সঙ্গেই সমঝোতা করতে হয়।
বৃহস্পতিবার সংসদ অধিবেশনে ২০১২-১৩ অর্থবছরের জন্য ১ লাখ ৯১ হাজার ৭৩৮ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী, যা চলতি অর্থবছরের ঘোষিত বাজেটের চেয়ে ১৭ শতাংশ বেশি।
প্রস্তাবিত বাজেটে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭ দশমিক ২ শতাংশ। মূল্যস্ফীতি ৭ দশমিক ৫ শতাংশে রাখার আশা করা হয়েছে। ২০১২-১৩ অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৬৭০ কোটি টাকা।
নতুন বাজেটের সঙ্গে চলতি বা বিদায়ী অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটও উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী। ২০১১-১২ অর্থবছরের মূল বাজেটের আকার ছিল ১ লাখ ৬৩ হাজার ৫৮৯ কোটি টাকা, তা কমিয়ে ১ লাখ ৬১ হাজার ২১৩ কোটি টাকায় নামিয়ে আনা হয়েছে।
গত কয়েকবারের মতো বিরোধী দলের অনুপস্থিতিতেই বাজেট উপস্থাপন করেন মুহিত। ছিলেন সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ মহাজোট শরিক দলগুলোর নেতারা।
অর্থমন্ত্রী সংসদ অধিবেশনে উপস্থাপনের কিছু সময় আগেই সংসদ ভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই বাজেট অনুমোদন হয়।
বরাবর অর্থমন্ত্রীর বাজেট বক্তৃতার পুস্তিকায় আলাদা কোনো শিরোনাম না থাকলেও এবার তাতে ‘তিনটি বছরের খতিয়ান : আগামীর পথ রচনা’ এই শিরোনাম দেখে যে কেউ নির্বাচনী বাজেটের গন্ধ খুঁজতে পারেন। ক্ষমতাসীন মহাজোটের শরিক জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ সরাসরিই বলেছেন, এটি নির্বাচনমুখী বাজেট।
প্রস্তাবিত বাজেটে সামাজিক অবকাঠামো খাতে মোট বরাদ্দের ২৪ দশমিক ২ শতাংশ রাখার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতা বাড়িয়ে তাতে প্রথমবারের মতো অনগ্রসর জনগোষ্ঠী দলিত, হরিজন, বেদে ও হিজড়াদের জন্য অর্থ বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
মুহিত বলেন, “আমরা চেষ্টা করেছি, দেশের যে সব জনগণ দারিদ্র্যসীমার নিচে রয়েছে, তাদের সেখান থেকে তুলে আনতে।”
ব্যবসায়ী-শিল্পপতিদের খুশি রাখতে দেশীয় শিল্প রক্ষায় নানা পদক্ষেপ রয়েছে প্রস্তাবিত বাজেটে। অপ্রয়োজনীয় ও বিলাসবহুল পণ্য আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্ক হার বাড়ানোর প্রস্তাবও রয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক গভর্নর মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “নতুন বাজেটে দেশীয় শিল্পকে যথেষ্ট সুরক্ষা দেওয়া হয়েছে, এটা খুবই ইতিবাচক। অন্যদিকে সামাজিক সুরক্ষা ব্যাপকভাবে সম্প্রসারণ করা হয়েছে। নারীদের উন্নয়নেও বরাদ্দ বাড়ানোসহ নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।”
দীর্ঘ বাজেট বক্তৃতায় কালো টাকা সাদা করার বিষয়ে কিছুই বলেননি অর্থমন্ত্রী। তবে বাজেট বক্তৃতার শেষে তিনি সংসদে যে অর্থ বিল উপস্থাপন করেছেন, তাতে কালো টাকা সাদা করার সুযোগের কথা বলা হয়েছে।
এতে কালো টাকা সাদা করার ঢালাও সুযোগ দেওয়া হয়েছে। ১০ শতাংশ হারে জরিমানা দিয়ে যে কোনো খাতে কালো টাকা সাদা করা যাবে।
এই পদক্ষেপ অনেককে খুশি করলেও সমালোচনা করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের বক্তব্য, নির্বাচনের আগে এটি দুর্নীতির কাছে শাসক দলের ‘রাজনৈতিক আত্মসমর্পণ’।
অর্থমন্ত্রীর ইচ্ছা ছিল বাজেটের আকার আরো বড় করার, কিন্তু সাধ্য যে ছিল না- তা নিজেই স্বীকার করেছেন।
বাজেট বক্তৃতার এক পর্যায়ে তিনি বলেন, “আমি চুপিচুপি বলি, আমার ইচ্ছা ছিল ২ লাখ কোটি টাকার বাজেট দেব। কিন্তু সম্পদের সীমাবদ্ধতার কারণে তা না করতে পেরে ১ লাখ ৯১ হাজার ৭৩৮ কোটি টাকার বাজেট দিচ্ছি।”
প্রস্তাবিত বাজেটে ঘাটতি ধরা হয়েছে ৫২ হাজার ৬৮ কোটি টাকা। বৈদেশিক অনুদান হিসেবে ধরলে এই ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াবে ৪৬ হাজার ২৪ কোটি টাকা।
চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটে অনুদানব্যতীত ঘাটতি ছিল ৪৫ হাজার ২০৪ কোটি টাকা। সংশোধিত বাজেটে তা বাড়িয়ে ৪৬ হাজার ২২৮ কোটি টাকা করা হয়েছে।
নতুন অর্থবছরের বাজেটে ঘাটতি মেটাতে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে সরকারের ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩৩ হাজার ৮৮৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়া হবে ২৩ হাজার কোটি টাকা। ব্যাংক বহির্ভূত খাত থেকে ১০ হাজার ৪৮৪ কোটি টাকা নেওয়া হবে। এছাড়া সঞ্চয়পত্র থেকে আসবে ৭ হাজার ৪০০ কোটি টাকা।
ঘাটতি মেটাতে বৈদেশিক উৎস থেকে নিট ঋণ নেওয়া হবে ১২ হাজার ৫৪০ কোটি টাকা। অর্থাৎ আগামী অর্থবছর বৈদেশিক উৎস থেকে ২০ হাহার ৩৯৮ কোটি টাকা ঋণ নেওয়া হবে। এর মধ্যে ৭ হাজার ৮৫৮ কোটি টাকা যাবে আগের নেওয়া ঋণ সুদ-আসলে পরিশোধে।
গত অর্থবছরে ব্যাংক খাত থেকে ১৮ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করলেও বছর শেষে তা ২৯ হাজার ১১৫ কোটি টাকায় দাঁড়ায়।
চলতি অর্থবছরে সরকারের ব্যাংক ঋণের সমালোচনা করে আসছিল বিরোধী দলসহ ব্যবসায়ী মহলও। তাদের বক্তব্য, সরকার ঋণ বেশি নেওয়ায় বেসরকারি খাত যথেষ্ট অর্থ পাচ্ছে না।
ঘাটতি মেটাতে অভ্যন্তরীণ উৎসের দিকে সরকারের এই নজর ভালো চোখে দেখছে না ব্যবসায়ী-শিল্পপতিরা। বাজেটের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এফবিসিসিআই সভাপতি এ কে আজাদ ব্যাংক ঋণের লক্ষ্যমাত্রার প্রস্তাব পুনর্বিবেচনার অনুরোধ জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রীর কাছে।
ঘোষিত বাজেটের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক অর্থ উপদেষ্টা এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেছেন, এই বাজেট বাস্তবায়ন দুঃসাধ্য । অন্যদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ফরাসউদ্দিন বলেছেন, নতুন বাজেট বাস্তবায়নযোগ্য।
মির্জ্জা আজিজের সংশয় বাজেটের অর্থায়ন নিয়ে। তার মতে, অর্থমন্ত্রী বাজেটে যে সব উৎস থেকে অর্থ আসবে বলে মন্ত্রী আশা প্রকাশ করেছেন, সে সব খাত থেকে প্রত্যাশিত অর্থ আসবে না।
প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পাশাপাশি মূল্যস্ফীতি ৭ দশমিক ৫ শতাংশে রাখা যাবে কি না, তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন মির্জ্জা আজিজ।
চলতি ২০১১-১২ অর্থবছরের বাজেটে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৭ শতাংশ। অবশ্য বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) অর্থবছরের নয় মাসের (জুলাই-মার্চ) হিসাব ধরে জিডিপির যে তথ্য প্রকাশ করেছে, তাতে ৬ দশমিক ৩২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হওয়ার ধারণা দেওয়া হয়েছে।
ফরাসউদ্দিন বাজেটের সব দিকের প্রশংসা করলেও সব রপ্তানি পণ্যের উৎস করের হার বাড়িয়ে ১ দশমিক ২ শতাংশ করার প্রস্তাব রাখার বিরোধিতা করেছেন।
চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি মোরশেদ মুরাদ ইব্রাহিমও এই হার পুনর্বিবেচনার জন্য অর্থমন্ত্রীর প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।
ক্ষমতাসীন মহাজোটের শরিক ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননের ভাষায়- নতুন বাজেটে সুসংবাদ বা দুঃসংবাদ দুটোর কোনোটিই নেই। তার মতে, ধারাবাহিকতা রক্ষার একটি বাজেটই দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী; যা কি না নির্বাচনমুখী মনে করছেন মহাজোটের আরেক নেতা এরশাদ।
প্রধান অর্থনৈতিক প্রতিবেদক
ঢাকা, জুন ০৭ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- সরকারের শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেটে সব দিক সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, যার ফলে বিভিন্ন খাতে অর্থ বরাদ্দ রাখতে গিয়ে ৫২ হাজার কোটি টাকা ঘাটতি থাকছে।
১ লাখ ৯১ হাজার ৭৩৮ কোটি টাকার এই বাজেটকে উচ্চাভিলাষী বলছে না প্রধান বিরোধী দল বিএনপিও। তবে তাদের সঙ্গে মহাজোট শরিক দলগুলোর কণ্ঠেও এর বাস্তবায়ন নিয়ে সংশয়ের সুর দেখা গেছে। অর্থনীতিবিদরাও বাস্তবায়নকেই চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন।
এই বাজেটে সার্বিক প্রবৃদ্ধির হার ১ শতাংশ বাড়ানোর লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে। অন্যদিকে মূল্যস্ফীতির হার ৩ শতাংশ কমিয়ে আনার আশা করা হয়েছে। যা একটি বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা।
প্রস্তাবিত বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীতে বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে, যাতে গ্রামের দরিদ্র্য মানুষের খুশি হওয়ার উপাদান রয়েছে। অন্যদিকে পুঁজিবাজারের স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যের কথাও বলা হয়েছে। দেশীয় শিল্প সংরক্ষণে রয়েছে নানা পদক্ষেপ।
অন্যদিকে আগামী জাতীয় নির্বাচনের দেড় বছর আগে দেওয়া এই বাজেটে কালো টাকা ঢালাওভাবে সাদা করার সুযোগ রাখার প্রস্তাব রেখেছেন অর্থমন্ত্রী, যার সমালোচনা ছিল দীর্ঘদিন ধরে; এমনকি অর্থমন্ত্রী নিজেকে এর বিরোধী বলে দাবি করলেও তারই স্বীকারোক্তি- অনেক কিছুর সঙ্গেই সমঝোতা করতে হয়।
বৃহস্পতিবার সংসদ অধিবেশনে ২০১২-১৩ অর্থবছরের জন্য ১ লাখ ৯১ হাজার ৭৩৮ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী, যা চলতি অর্থবছরের ঘোষিত বাজেটের চেয়ে ১৭ শতাংশ বেশি।
প্রস্তাবিত বাজেটে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭ দশমিক ২ শতাংশ। মূল্যস্ফীতি ৭ দশমিক ৫ শতাংশে রাখার আশা করা হয়েছে। ২০১২-১৩ অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৬৭০ কোটি টাকা।
নতুন বাজেটের সঙ্গে চলতি বা বিদায়ী অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটও উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী। ২০১১-১২ অর্থবছরের মূল বাজেটের আকার ছিল ১ লাখ ৬৩ হাজার ৫৮৯ কোটি টাকা, তা কমিয়ে ১ লাখ ৬১ হাজার ২১৩ কোটি টাকায় নামিয়ে আনা হয়েছে।
গত কয়েকবারের মতো বিরোধী দলের অনুপস্থিতিতেই বাজেট উপস্থাপন করেন মুহিত। ছিলেন সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ মহাজোট শরিক দলগুলোর নেতারা।
অর্থমন্ত্রী সংসদ অধিবেশনে উপস্থাপনের কিছু সময় আগেই সংসদ ভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই বাজেট অনুমোদন হয়।
বরাবর অর্থমন্ত্রীর বাজেট বক্তৃতার পুস্তিকায় আলাদা কোনো শিরোনাম না থাকলেও এবার তাতে ‘তিনটি বছরের খতিয়ান : আগামীর পথ রচনা’ এই শিরোনাম দেখে যে কেউ নির্বাচনী বাজেটের গন্ধ খুঁজতে পারেন। ক্ষমতাসীন মহাজোটের শরিক জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ সরাসরিই বলেছেন, এটি নির্বাচনমুখী বাজেট।
প্রস্তাবিত বাজেটে সামাজিক অবকাঠামো খাতে মোট বরাদ্দের ২৪ দশমিক ২ শতাংশ রাখার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতা বাড়িয়ে তাতে প্রথমবারের মতো অনগ্রসর জনগোষ্ঠী দলিত, হরিজন, বেদে ও হিজড়াদের জন্য অর্থ বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
মুহিত বলেন, “আমরা চেষ্টা করেছি, দেশের যে সব জনগণ দারিদ্র্যসীমার নিচে রয়েছে, তাদের সেখান থেকে তুলে আনতে।”
ব্যবসায়ী-শিল্পপতিদের খুশি রাখতে দেশীয় শিল্প রক্ষায় নানা পদক্ষেপ রয়েছে প্রস্তাবিত বাজেটে। অপ্রয়োজনীয় ও বিলাসবহুল পণ্য আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্ক হার বাড়ানোর প্রস্তাবও রয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক গভর্নর মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “নতুন বাজেটে দেশীয় শিল্পকে যথেষ্ট সুরক্ষা দেওয়া হয়েছে, এটা খুবই ইতিবাচক। অন্যদিকে সামাজিক সুরক্ষা ব্যাপকভাবে সম্প্রসারণ করা হয়েছে। নারীদের উন্নয়নেও বরাদ্দ বাড়ানোসহ নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।”
দীর্ঘ বাজেট বক্তৃতায় কালো টাকা সাদা করার বিষয়ে কিছুই বলেননি অর্থমন্ত্রী। তবে বাজেট বক্তৃতার শেষে তিনি সংসদে যে অর্থ বিল উপস্থাপন করেছেন, তাতে কালো টাকা সাদা করার সুযোগের কথা বলা হয়েছে।
এতে কালো টাকা সাদা করার ঢালাও সুযোগ দেওয়া হয়েছে। ১০ শতাংশ হারে জরিমানা দিয়ে যে কোনো খাতে কালো টাকা সাদা করা যাবে।
এই পদক্ষেপ অনেককে খুশি করলেও সমালোচনা করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের বক্তব্য, নির্বাচনের আগে এটি দুর্নীতির কাছে শাসক দলের ‘রাজনৈতিক আত্মসমর্পণ’।
অর্থমন্ত্রীর ইচ্ছা ছিল বাজেটের আকার আরো বড় করার, কিন্তু সাধ্য যে ছিল না- তা নিজেই স্বীকার করেছেন।
বাজেট বক্তৃতার এক পর্যায়ে তিনি বলেন, “আমি চুপিচুপি বলি, আমার ইচ্ছা ছিল ২ লাখ কোটি টাকার বাজেট দেব। কিন্তু সম্পদের সীমাবদ্ধতার কারণে তা না করতে পেরে ১ লাখ ৯১ হাজার ৭৩৮ কোটি টাকার বাজেট দিচ্ছি।”
প্রস্তাবিত বাজেটে ঘাটতি ধরা হয়েছে ৫২ হাজার ৬৮ কোটি টাকা। বৈদেশিক অনুদান হিসেবে ধরলে এই ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াবে ৪৬ হাজার ২৪ কোটি টাকা।
চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটে অনুদানব্যতীত ঘাটতি ছিল ৪৫ হাজার ২০৪ কোটি টাকা। সংশোধিত বাজেটে তা বাড়িয়ে ৪৬ হাজার ২২৮ কোটি টাকা করা হয়েছে।
নতুন অর্থবছরের বাজেটে ঘাটতি মেটাতে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে সরকারের ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩৩ হাজার ৮৮৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়া হবে ২৩ হাজার কোটি টাকা। ব্যাংক বহির্ভূত খাত থেকে ১০ হাজার ৪৮৪ কোটি টাকা নেওয়া হবে। এছাড়া সঞ্চয়পত্র থেকে আসবে ৭ হাজার ৪০০ কোটি টাকা।
ঘাটতি মেটাতে বৈদেশিক উৎস থেকে নিট ঋণ নেওয়া হবে ১২ হাজার ৫৪০ কোটি টাকা। অর্থাৎ আগামী অর্থবছর বৈদেশিক উৎস থেকে ২০ হাহার ৩৯৮ কোটি টাকা ঋণ নেওয়া হবে। এর মধ্যে ৭ হাজার ৮৫৮ কোটি টাকা যাবে আগের নেওয়া ঋণ সুদ-আসলে পরিশোধে।
গত অর্থবছরে ব্যাংক খাত থেকে ১৮ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করলেও বছর শেষে তা ২৯ হাজার ১১৫ কোটি টাকায় দাঁড়ায়।
চলতি অর্থবছরে সরকারের ব্যাংক ঋণের সমালোচনা করে আসছিল বিরোধী দলসহ ব্যবসায়ী মহলও। তাদের বক্তব্য, সরকার ঋণ বেশি নেওয়ায় বেসরকারি খাত যথেষ্ট অর্থ পাচ্ছে না।
ঘাটতি মেটাতে অভ্যন্তরীণ উৎসের দিকে সরকারের এই নজর ভালো চোখে দেখছে না ব্যবসায়ী-শিল্পপতিরা। বাজেটের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এফবিসিসিআই সভাপতি এ কে আজাদ ব্যাংক ঋণের লক্ষ্যমাত্রার প্রস্তাব পুনর্বিবেচনার অনুরোধ জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রীর কাছে।
ঘোষিত বাজেটের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক অর্থ উপদেষ্টা এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেছেন, এই বাজেট বাস্তবায়ন দুঃসাধ্য । অন্যদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ফরাসউদ্দিন বলেছেন, নতুন বাজেট বাস্তবায়নযোগ্য।
মির্জ্জা আজিজের সংশয় বাজেটের অর্থায়ন নিয়ে। তার মতে, অর্থমন্ত্রী বাজেটে যে সব উৎস থেকে অর্থ আসবে বলে মন্ত্রী আশা প্রকাশ করেছেন, সে সব খাত থেকে প্রত্যাশিত অর্থ আসবে না।
প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পাশাপাশি মূল্যস্ফীতি ৭ দশমিক ৫ শতাংশে রাখা যাবে কি না, তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন মির্জ্জা আজিজ।
চলতি ২০১১-১২ অর্থবছরের বাজেটে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৭ শতাংশ। অবশ্য বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) অর্থবছরের নয় মাসের (জুলাই-মার্চ) হিসাব ধরে জিডিপির যে তথ্য প্রকাশ করেছে, তাতে ৬ দশমিক ৩২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হওয়ার ধারণা দেওয়া হয়েছে।
ফরাসউদ্দিন বাজেটের সব দিকের প্রশংসা করলেও সব রপ্তানি পণ্যের উৎস করের হার বাড়িয়ে ১ দশমিক ২ শতাংশ করার প্রস্তাব রাখার বিরোধিতা করেছেন।
চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি মোরশেদ মুরাদ ইব্রাহিমও এই হার পুনর্বিবেচনার জন্য অর্থমন্ত্রীর প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।
ক্ষমতাসীন মহাজোটের শরিক ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননের ভাষায়- নতুন বাজেটে সুসংবাদ বা দুঃসংবাদ দুটোর কোনোটিই নেই। তার মতে, ধারাবাহিকতা রক্ষার একটি বাজেটই দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী; যা কি না নির্বাচনমুখী মনে করছেন মহাজোটের আরেক নেতা এরশাদ।
বিদিশা প্লট, গাড়ি আর বামপন্থী দিলীপ বড়ুয়া
২০০৮ এর অক্টোবরের কথা। দেশজুড়ে নির্বাচনের ডামাডোল। রাজনীতিবিদরা
প্রায় সকলেই রাজধানী ঢাকা ছেড়ে নিজ নিজ এলাকায়। তখন দুপুর। এমনিতে শীতের
আমেজ কিছুটা থাকলেও দুপুর বলে সূর্যের তাপটা বেশ প্রবল। এরই মধ্যে নগরীর
সায়েন্স ল্যাবরেটরি এলাকায় তোবড়ানো একটা কোট পরে এক ভদ্রলোক বাসের অপেক্ষায়
দাঁড়িয়ে। তার হাতে একটি মলিন ফাইল। আশপাশে দু’একটা স্কুটার ছিল, কিন্তু
তিনি সে দিকে গেলেন না। কিছুটা ধাক্কাধাক্কি করেই বাসে উঠে চলে গেলেন।
বাসটি যাবে শাহবাগ হয়ে মতিঝিলের দিকে।
ঠিক এভাবেই ঘটনাটি বর্ণনা করলেন আমার এক বন্ধু। ২০০৯ এর জানুয়ারিতে বিপুল ব্যবধানে নির্বাচিত হওয়ার পর শেখ হাসিনা যখন তার মন্ত্রিসভা ঘোষণা করছিলেন, টিভি’র সামনে আরও অনেকের মত আমিও ছিলাম। তারও বেশ কিছু্ক্ষণ আগে থেকে বিভিন্ন টেলিভিশনে সম্ভাব্য মন্ত্রীদের নাম প্রচার করা হচ্ছিল। সেখানে দিলীপ বড়ুয়ার নামটি দেখে আমি চমকে উঠলাম। দিলীপদা মন্ত্রী হচ্ছেন! আমার নিজের চোখকেই বিশ্বাস হচ্ছিল না।
দিলীপ বড়ুয়ার সঙ্গে আমার কিছু স্মৃতি ছিল। আমরা একবার একসঙ্গে চীন গিয়েছিলাম। সেটা ছিল এশিয়ার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের একটা সম্মেলন। আমি তখন বৈবাহিকসূত্রে জাতীয় পার্টির সঙ্গে জড়িত। ওই পার্টির প্রতিনিধি হিসাবেই আমার যাওয়া। বাংলাদেশ থেকে আরও অনেক রাজনীতিবিদই গিয়েছিলেন। বিএনপি তখন ক্ষমতায়। ক্ষমতাসীন দলের পক্ষ থেকে মন্ত্রী আবদুল্লাহ আল নোমান গিয়েছিলেন। আওয়ামী লীগ থেকে গিয়েছিলেন সৈয়দ আবুল হোসেন। তাদের সকলের মধ্যে দিলীপদা’র সঙ্গই আমার সবচেয়ে ভালো লেগেছিল। খুবই সাদাসিধা, অমায়িক একজন ভদ্রলোক। অন্যদের যে খারাপ লেগেছিল, তা নয়। তারা সবাই আমার সঙ্গে খুবই ভদ্র, শালীন আচরণ করেছেন। সম্মেলনের সময়টুকু বাদে, সকলেই নানা জিনিসপত্র কেনাকাটা করেছেন। সবাই বড়বড় দোকানে গেছেন, দামী দামী জিনিস কিনেছেন। একমাত্র ব্যতিক্রম দিলীপ বড়ুয়া এবং তার সঙ্গে থাকা আর একজন বামপন্থী ভদ্রলোক। তারা খুঁজে খুঁজে এক ডলারের দোকানে যেতেন। কেনাকাটায় এই যে কম অর্থ ব্যয়ের প্রচেষ্টা, এনিয়ে ওই সময় তার মধ্যে কোন ধরনের হীনমণ্য ভাব আমার চোখে পড়েনি। বরং মনে হয়েছে, নিজের অঢেল অর্থ না থাকা নিয়ে কিছুটা গর্বিতই বুঝি তিনি।
টেলিভিশনের পর্দায় সেই দিলীপ বড়ুয়ার নাম দেখে আমি আর স্থির থাকতে পারিনি। সঙ্গে সঙ্গে তাকে ফোন করলাম। একবার রিং হতেই তিনি তুললেন। বললাম-দাদা এসব কি দেখছি! আপনি মন্ত্রী হচ্ছেন!
-হ্যাঁ দিদি, আমিও তো সেরকমই শুনছি। দিদি, দোয়া করবেন।
তিনি আর বেশি কথা বলতে পারছিলেন না। তার গলা ধরে আসছিল। মনে হলো, ওপ্রান্তে তিনি বোধকরি কাঁদছিলেন।
কাকতালীয় ভাবে ওই বন্ধুটি তখন আমার পাশে ছিলো। সে বর্ণনা করলো মাস দু’য়েক আগের তার নিজের চোখে দেখা সায়েন্স ল্যাবরেটরি এলাকার ওই ঘটনাটি। বন্ধুটি আরও বললো, আমারও সেদিন মতিঝিলে যাওয়ার কথা ছিল। আমি স্কুটার দরদাম করছিলাম। কিন্তু আমার সামনেই দিলীপদাকে ওইভাবে ঠেলাঠেলি করে বাসে উঠতে দেখে কিছুটা লজ্জাই পেলাম। স্কুটারের দিকে না যেয়ে আমিও পরের বাসে উঠে গেলাম।
বন্ধুটি বেশ রাজনীতি সচেতন। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন নিজেও বাম রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল। টেলিভিশনে মন্ত্রীদের নামের তালিকায় একটি করে নাম যুক্ত হচ্ছিল, আর আমরা তা নিয়ে আলোচনা করছিলাম। দিলীপ বড়ুয়ার নামটি আসার পর, বন্ধুটি বললো, তাকে মন্ত্রী বানিয়ে শেখ হাসিনা আসলে মেনন আর ইনুকে সাইজ করলো।
তারপর কিছুটা রসিকতার ভঙ্গিতে বন্ধুটি বললো, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন আমরা দিলীপদা এবং নির্মলদা’র (নির্মল সেন) পার্টির লোকবল নিয়ে রসিকতা করতাম। বলতাম উনাদের পক্ষে কারফিউ ভঙ্গ করা সম্ভব, কিন্তু ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করা সম্ভব নয়। কারণ, কারফিউ ভাঙতে হলে একজন লোক রাস্তায় নামলেই হয়, কিন্তু ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করতে হলে রাস্তায় কমপক্ষে তিনজন লোক নিয়ে নামতে হয়, ওই তিনজন লোক জোগাড় করাই ওই মহান দুই বামপন্থীর পক্ষে সম্ভব নয়।
কথাটি আমার বিশ্বাস হলো না। তিনজন মাত্র লোক নেই, অথচ একটি পার্টি আছে, এমনও কি সম্ভব? আবার ভাবলাম, হতেও পারে, এদেশে সবই সম্ভব। রাজনীতিতে একদিনেরও অভিজ্ঞতা না থাকা সত্ত্বেও, কেবলমাত্র পার্টি প্রধানের স্ত্রী হওয়ার সুবাদে এই আমিই তো সেই পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য হয়ে গিয়েছিলাম!
তবে একটা বিষয়ে সেদিন আমরা দু’জনেই একমত হয়েছিলাম, মন্ত্রী হিসাবে দিলীপ বড়ুয়া কতটুকু যোগ্য হবেন-সেটা বলা না গেলেও, তিনি যে একজন সৎ মন্ত্রী হবেন এটা নিশ্চিত।
মন্ত্রী হওয়ার পর দিলীপদা’কে আমি কখনোই ফোন করিনি। তবে তার সঙ্গে একবার দেখা হয়েছে। বছর দেড়েক আগের কথা। আমি তখন ইংল্যান্ড যাচ্ছিলাম। প্লেন পরিবর্তন করতে হবে দুবাই এয়ারপোর্টে। বোর্ডিং পাস সংগ্রহের জন্য লম্বা লাইন, সেখানেই দাঁড়িয়ে দিলীপ বড়ুয়া। একহাতে টিকেট-পাসপোর্ট, অন্য হাতে হ্যান্ডব্যাগ। তিনি যেন কিছুটা হিমশিম খাচ্ছেন। আমি তাকে সালাম দিলাম। বললাম, দাদা চিনতে পেরেছেন?
তিনি হাসলেন, কি যে বলেন দিদি, কেন চিনতে পারবো না? কেমন আছেন আপনি? কোথায় যাচ্ছেন?
এক কথা দু’কথার পর বললাম, আপনি এখন মন্ত্রী। তারপরও আপনি লাইনে কেন?
-কেন, মন্ত্রী হয়েছি তো কি হয়েছে? আমি তো এখনো ইকোনমি ক্লাসেই ভ্রমণ করি। মন্ত্রী তো দু’দিনের ব্যাপার। তাই বিজনেস ক্লাসে উঠে স্বভাবটা নষ্ট করতে চাই না। যখন মন্ত্রী না থাকবো, তখন যেন কষ্ট না হয়।
তার কথা শুনে খুব ভালো লাগলো। ভাবলাম, আহা, আমাদের দেশে যদি এরকম আরও কয়েকজন মন্ত্রী থাকতো! শেখ হাসিনার উপর কিছুটা খুশিই হলাম। ভালোই করেছেন তিনি। কয়েকজন সৎ মানুষকে মন্ত্রী করেছেন।
আসলে এতক্ষণ যা লিখলাম, তা কেবলই ভূমিকা। এবার আসছি মূল প্রসঙ্গে। পাঠকদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি, কারণ ভূমিকার চেয়ে মূল প্রসঙ্গটি ছোট হয়ে যাবে বলে।
গত মঙ্গলবার (৫ জুন ২০১২) একটি পত্রিকায় দেখলাম, মন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া নাকি নিজের এবং তার পরিবারের সদস্যদের নামে ঢাকা শহরে পাঁচটি প্লট নিয়েছেন! আবার চট্টগ্রামেও একটি প্লট পাওয়ার জন্য আবেদন করেছেন, সেটি পাওয়াও নাকি একরকম নিশ্চিত। রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, তিনি নাকি খুবই দামী জিপে চলাফেরা করেন আজকাল। তার অথবা তার পরিবারের নামে আরও কী কী সম্পদ আছে, তারও কিছু বিবরণ দেখলাম ওই রিপোর্টে।
এ খবরটি আমাকে হতবাক করে দিল। আমি মিলাতে পারলাম না। এটা কি সেই দিলীপ বড়ুয়া, যাকে আমি চীনে ১ ডলারের দোকানের সন্ধানে ছোটাছুটি করতে দেখেছি? যাকে মন্ত্রী হওয়ার পরও দুবাইয়ে ইকোনমি ক্লাসের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেছি?
আচ্ছা, ঠিক আছে, না হয় ধরে নিলাম পত্রিকাগুলো অতিরঞ্জণ করে লিখেছে। কিন্তু পাঁচটি না হলেও তিনটি, কিংবা দু’টি প্লটতো ঠিক আছে।
বামপন্থী রাজনীতি বলতে আসলে ঠিক কি বুঝায়, আমি ভালো বুঝি না। তবে আমি বামপন্থী মতধারায় বিশ্বাসী লোকদের কয়েকজনকে দেখেছি। আমার পিতা সারাজীবন বামধারার রাজনীতির প্রতি অনুগত ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ছিলেন, অর্থ-সম্পদ-প্রতিপত্তি’র প্রতি লোভ তার মধ্যে কখনো দেখিনি। এখনও, এই বৃদ্ধ বয়সেও, ভাড়া বাসাতে থাকেন। শুনেছি, বামপন্থীদের নাকি একধরনের অহঙ্কার থাকে। ব্যক্তিগত সম্পদ না থাকার অহঙ্কার। আমার বাবার মধ্যে সেই অহঙ্কারটি দেখতে দেখতে আমি ক্লান্ত, রাগান্বিত এবং সবমিলিয়ে গর্বিত। খুব জানতে ইচ্ছা করে, এই সরকারের সঙ্গে জড়িত মহান তিন বামপন্থী দিলীপ বড়ুয়া, রাশেদ খান মেনন, কিংবা হাসানুল হক ইনু-এরা কি ওই অহঙ্কারে অহঙ্কারী?
ঠিক এভাবেই ঘটনাটি বর্ণনা করলেন আমার এক বন্ধু। ২০০৯ এর জানুয়ারিতে বিপুল ব্যবধানে নির্বাচিত হওয়ার পর শেখ হাসিনা যখন তার মন্ত্রিসভা ঘোষণা করছিলেন, টিভি’র সামনে আরও অনেকের মত আমিও ছিলাম। তারও বেশ কিছু্ক্ষণ আগে থেকে বিভিন্ন টেলিভিশনে সম্ভাব্য মন্ত্রীদের নাম প্রচার করা হচ্ছিল। সেখানে দিলীপ বড়ুয়ার নামটি দেখে আমি চমকে উঠলাম। দিলীপদা মন্ত্রী হচ্ছেন! আমার নিজের চোখকেই বিশ্বাস হচ্ছিল না।
দিলীপ বড়ুয়ার সঙ্গে আমার কিছু স্মৃতি ছিল। আমরা একবার একসঙ্গে চীন গিয়েছিলাম। সেটা ছিল এশিয়ার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের একটা সম্মেলন। আমি তখন বৈবাহিকসূত্রে জাতীয় পার্টির সঙ্গে জড়িত। ওই পার্টির প্রতিনিধি হিসাবেই আমার যাওয়া। বাংলাদেশ থেকে আরও অনেক রাজনীতিবিদই গিয়েছিলেন। বিএনপি তখন ক্ষমতায়। ক্ষমতাসীন দলের পক্ষ থেকে মন্ত্রী আবদুল্লাহ আল নোমান গিয়েছিলেন। আওয়ামী লীগ থেকে গিয়েছিলেন সৈয়দ আবুল হোসেন। তাদের সকলের মধ্যে দিলীপদা’র সঙ্গই আমার সবচেয়ে ভালো লেগেছিল। খুবই সাদাসিধা, অমায়িক একজন ভদ্রলোক। অন্যদের যে খারাপ লেগেছিল, তা নয়। তারা সবাই আমার সঙ্গে খুবই ভদ্র, শালীন আচরণ করেছেন। সম্মেলনের সময়টুকু বাদে, সকলেই নানা জিনিসপত্র কেনাকাটা করেছেন। সবাই বড়বড় দোকানে গেছেন, দামী দামী জিনিস কিনেছেন। একমাত্র ব্যতিক্রম দিলীপ বড়ুয়া এবং তার সঙ্গে থাকা আর একজন বামপন্থী ভদ্রলোক। তারা খুঁজে খুঁজে এক ডলারের দোকানে যেতেন। কেনাকাটায় এই যে কম অর্থ ব্যয়ের প্রচেষ্টা, এনিয়ে ওই সময় তার মধ্যে কোন ধরনের হীনমণ্য ভাব আমার চোখে পড়েনি। বরং মনে হয়েছে, নিজের অঢেল অর্থ না থাকা নিয়ে কিছুটা গর্বিতই বুঝি তিনি।
টেলিভিশনের পর্দায় সেই দিলীপ বড়ুয়ার নাম দেখে আমি আর স্থির থাকতে পারিনি। সঙ্গে সঙ্গে তাকে ফোন করলাম। একবার রিং হতেই তিনি তুললেন। বললাম-দাদা এসব কি দেখছি! আপনি মন্ত্রী হচ্ছেন!
-হ্যাঁ দিদি, আমিও তো সেরকমই শুনছি। দিদি, দোয়া করবেন।
তিনি আর বেশি কথা বলতে পারছিলেন না। তার গলা ধরে আসছিল। মনে হলো, ওপ্রান্তে তিনি বোধকরি কাঁদছিলেন।
কাকতালীয় ভাবে ওই বন্ধুটি তখন আমার পাশে ছিলো। সে বর্ণনা করলো মাস দু’য়েক আগের তার নিজের চোখে দেখা সায়েন্স ল্যাবরেটরি এলাকার ওই ঘটনাটি। বন্ধুটি আরও বললো, আমারও সেদিন মতিঝিলে যাওয়ার কথা ছিল। আমি স্কুটার দরদাম করছিলাম। কিন্তু আমার সামনেই দিলীপদাকে ওইভাবে ঠেলাঠেলি করে বাসে উঠতে দেখে কিছুটা লজ্জাই পেলাম। স্কুটারের দিকে না যেয়ে আমিও পরের বাসে উঠে গেলাম।
বন্ধুটি বেশ রাজনীতি সচেতন। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন নিজেও বাম রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল। টেলিভিশনে মন্ত্রীদের নামের তালিকায় একটি করে নাম যুক্ত হচ্ছিল, আর আমরা তা নিয়ে আলোচনা করছিলাম। দিলীপ বড়ুয়ার নামটি আসার পর, বন্ধুটি বললো, তাকে মন্ত্রী বানিয়ে শেখ হাসিনা আসলে মেনন আর ইনুকে সাইজ করলো।
তারপর কিছুটা রসিকতার ভঙ্গিতে বন্ধুটি বললো, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন আমরা দিলীপদা এবং নির্মলদা’র (নির্মল সেন) পার্টির লোকবল নিয়ে রসিকতা করতাম। বলতাম উনাদের পক্ষে কারফিউ ভঙ্গ করা সম্ভব, কিন্তু ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করা সম্ভব নয়। কারণ, কারফিউ ভাঙতে হলে একজন লোক রাস্তায় নামলেই হয়, কিন্তু ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করতে হলে রাস্তায় কমপক্ষে তিনজন লোক নিয়ে নামতে হয়, ওই তিনজন লোক জোগাড় করাই ওই মহান দুই বামপন্থীর পক্ষে সম্ভব নয়।
কথাটি আমার বিশ্বাস হলো না। তিনজন মাত্র লোক নেই, অথচ একটি পার্টি আছে, এমনও কি সম্ভব? আবার ভাবলাম, হতেও পারে, এদেশে সবই সম্ভব। রাজনীতিতে একদিনেরও অভিজ্ঞতা না থাকা সত্ত্বেও, কেবলমাত্র পার্টি প্রধানের স্ত্রী হওয়ার সুবাদে এই আমিই তো সেই পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য হয়ে গিয়েছিলাম!
তবে একটা বিষয়ে সেদিন আমরা দু’জনেই একমত হয়েছিলাম, মন্ত্রী হিসাবে দিলীপ বড়ুয়া কতটুকু যোগ্য হবেন-সেটা বলা না গেলেও, তিনি যে একজন সৎ মন্ত্রী হবেন এটা নিশ্চিত।
মন্ত্রী হওয়ার পর দিলীপদা’কে আমি কখনোই ফোন করিনি। তবে তার সঙ্গে একবার দেখা হয়েছে। বছর দেড়েক আগের কথা। আমি তখন ইংল্যান্ড যাচ্ছিলাম। প্লেন পরিবর্তন করতে হবে দুবাই এয়ারপোর্টে। বোর্ডিং পাস সংগ্রহের জন্য লম্বা লাইন, সেখানেই দাঁড়িয়ে দিলীপ বড়ুয়া। একহাতে টিকেট-পাসপোর্ট, অন্য হাতে হ্যান্ডব্যাগ। তিনি যেন কিছুটা হিমশিম খাচ্ছেন। আমি তাকে সালাম দিলাম। বললাম, দাদা চিনতে পেরেছেন?
তিনি হাসলেন, কি যে বলেন দিদি, কেন চিনতে পারবো না? কেমন আছেন আপনি? কোথায় যাচ্ছেন?
এক কথা দু’কথার পর বললাম, আপনি এখন মন্ত্রী। তারপরও আপনি লাইনে কেন?
-কেন, মন্ত্রী হয়েছি তো কি হয়েছে? আমি তো এখনো ইকোনমি ক্লাসেই ভ্রমণ করি। মন্ত্রী তো দু’দিনের ব্যাপার। তাই বিজনেস ক্লাসে উঠে স্বভাবটা নষ্ট করতে চাই না। যখন মন্ত্রী না থাকবো, তখন যেন কষ্ট না হয়।
তার কথা শুনে খুব ভালো লাগলো। ভাবলাম, আহা, আমাদের দেশে যদি এরকম আরও কয়েকজন মন্ত্রী থাকতো! শেখ হাসিনার উপর কিছুটা খুশিই হলাম। ভালোই করেছেন তিনি। কয়েকজন সৎ মানুষকে মন্ত্রী করেছেন।
আসলে এতক্ষণ যা লিখলাম, তা কেবলই ভূমিকা। এবার আসছি মূল প্রসঙ্গে। পাঠকদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি, কারণ ভূমিকার চেয়ে মূল প্রসঙ্গটি ছোট হয়ে যাবে বলে।
গত মঙ্গলবার (৫ জুন ২০১২) একটি পত্রিকায় দেখলাম, মন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া নাকি নিজের এবং তার পরিবারের সদস্যদের নামে ঢাকা শহরে পাঁচটি প্লট নিয়েছেন! আবার চট্টগ্রামেও একটি প্লট পাওয়ার জন্য আবেদন করেছেন, সেটি পাওয়াও নাকি একরকম নিশ্চিত। রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, তিনি নাকি খুবই দামী জিপে চলাফেরা করেন আজকাল। তার অথবা তার পরিবারের নামে আরও কী কী সম্পদ আছে, তারও কিছু বিবরণ দেখলাম ওই রিপোর্টে।
এ খবরটি আমাকে হতবাক করে দিল। আমি মিলাতে পারলাম না। এটা কি সেই দিলীপ বড়ুয়া, যাকে আমি চীনে ১ ডলারের দোকানের সন্ধানে ছোটাছুটি করতে দেখেছি? যাকে মন্ত্রী হওয়ার পরও দুবাইয়ে ইকোনমি ক্লাসের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেছি?
আচ্ছা, ঠিক আছে, না হয় ধরে নিলাম পত্রিকাগুলো অতিরঞ্জণ করে লিখেছে। কিন্তু পাঁচটি না হলেও তিনটি, কিংবা দু’টি প্লটতো ঠিক আছে।
বামপন্থী রাজনীতি বলতে আসলে ঠিক কি বুঝায়, আমি ভালো বুঝি না। তবে আমি বামপন্থী মতধারায় বিশ্বাসী লোকদের কয়েকজনকে দেখেছি। আমার পিতা সারাজীবন বামধারার রাজনীতির প্রতি অনুগত ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ছিলেন, অর্থ-সম্পদ-প্রতিপত্তি’র প্রতি লোভ তার মধ্যে কখনো দেখিনি। এখনও, এই বৃদ্ধ বয়সেও, ভাড়া বাসাতে থাকেন। শুনেছি, বামপন্থীদের নাকি একধরনের অহঙ্কার থাকে। ব্যক্তিগত সম্পদ না থাকার অহঙ্কার। আমার বাবার মধ্যে সেই অহঙ্কারটি দেখতে দেখতে আমি ক্লান্ত, রাগান্বিত এবং সবমিলিয়ে গর্বিত। খুব জানতে ইচ্ছা করে, এই সরকারের সঙ্গে জড়িত মহান তিন বামপন্থী দিলীপ বড়ুয়া, রাশেদ খান মেনন, কিংবা হাসানুল হক ইনু-এরা কি ওই অহঙ্কারে অহঙ্কারী?
"আধা-পাগল" (Bangladesh Cricket Team Fan Club)
বাংলাদেশ দলের কোচের পদে পাইবাসকেই প্রথম পছন্দ বিসিবির। আর পাইবাস দেশে
ফেরার আগে বিসিবিকে জানিয়ে দিয়ে গেছে দেশে গিয়ে পরিবারের সাথে আলোচনা
করে তার সিদ্ধান্তের কথা জানাবেন। বিসিবির কাছ থেকে সাত দিনের সময় চেয়ে
নিয়েছে বর্তমানে দক্ষিন আফ্রিকায় অবস্থান করা পাইবাস। সে হিসেবে আগামীকালই জানা যাবে বাংলাদেশ দলের কোচ হবেন কিনা তা।
আগামীকালের মধ্যে যদি ইতিবাচক সাড়া না পাওয়া যায় তাহলে বাকী কোচদের
সাথে যোগাযোগ করবে বিসিবি। “আমরা এখনও পাইবাসের উত্তর জানার অপেক্ষায় আছি।
সে সাত দিনের সময় চেয়েছে। আশা করছি তার কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়াই পাব।
যদি শনিবারের মধ্যে সেটা না পাওয়া যায় তাহলে অন্য অপশনে যাব আমরা।’
বিসিবি পরিচালক জালাল ইউনুসের বিশ্বাস, পাইবাসের কাছ থেকে উত্তর আসবে খুব
শিগগিরই।
Thursday, 7 June 2012
WEB ওয়েব ডেভলপমেন্ট
বাতাসের সাথে
সাথে মনে হচ্ছে হাজার হাজার ডাটা
(তথ্য) চারপাশে ভাসছে। Google কে চিনিনা এমন মানুষ কম আছে। যে একে সঠিক ভাবে ব্যবহার করতে পেরেছে যে
জানে এটা কি জিনিস। তো যারা Google কে সঠিক ভাবে
ব্যবহার করতে পারেন নাই তাদের জন্য সহজ করে গাইড লাইন দিলাম। যা থেকে যেকেউ খুব সহজে ঘরে বসে বসেই
ওয়েব ডেভলপমেন্ট শিখতে পারবে।
তবে গাইড
লাইনের আগে বলে নেই। অবশ্যই আপনাকে ধৈর্য সহকারে সব টিউটোরিয়াল পড়তে হবে। শুধু পরলে হবে না পড়ার সাথে সাথে যেগুলো প্র্যাকটিস করতে
হবে। প্রথমেই NotePad++ সফটওয়্যারটা ডাউনলোড করে নিন। এটা আপনার প্র্যাকটিস
করাতে সুবিধা হবে। যেকোন ধরনের কোড এই সফটওয়্যার
এর মাধ্যমে লিখতে পারবেন সাথে আরও অনেক সুবিধা পাবেন। এটার বিস্তারিত তে নাইবা গেলাম কারন এটা সম্পর্কে মোটামুটি সবাই জানে। তো ডাউনলোড করুন – NotePad++
এবার যারা আমার
লেখা ওয়েব ডেভলপমেন্ট এর গাইড লাইনটি পড়েন নি তারা একবার পরে আসুন কি কি শিখা
প্রয়োজন ওয়েব ডেভলপারের জন্য। গাইড
লাইনঃ ওয়েব ডেভলপার হতে চাই
কি দেখেছে ??? এবার শিখা শুরুঃ
HTML
নিচের
সাইটগুলোতে বেশ ভাল মানের টিউটোরিয়াল আছে। এগুলো থেকে ধারাবাহিক ভাবে শিখা শুরু করতে পারেন। শিখবেন কিভাবে শুধু রিডিং পড়ে পড়ে ? অবশ্যই না। যেই কোডটি পরবেন সেটা সাথে সাথে নোটপ্যাড++ এর মাধ্যমে প্র্যাকটিস
করবেন।
HTML
Tutorial Web Sites
CSS
CSS দুই ধরনের হয়ে থাকে ১.Internal CSS ২.External CSS এই দুই ধরনের মধ্যে অবশ্যই প্র্যাকটিস করবেন এবং শিখবেন External CSS টা আর Internal টা সম্পর্কে একটু ধারনা নিলেই হবে।
CSS Tutorial
Web Sites
JavaScript
জাভাস্ক্রিপ্ট
!!! কি খুব কঠিন একটা জিনিস কেমন
কেমন জানি লাগে তাই না ? নিচের সাইট গুলো থেকে শুধু বুঝে নিন কোনটার কাজ কি। এতে আপনি আপনার মত করে
এডিট করতে পারবেন কোডগুলো। আর পর জাভাস্ক্রিপ্ট এর ফ্রেমওয়ার্ক jquery.com থেকে jQuery এর টিউটোরিয়াল গুলো দেখেন কিভাবে কোন কোড ব্যবহার করতে
হয়।
JavaScript Tutorial
Web Sites
PHP
PHP এর পিছনে অনেক সময় দিন। ভাল ভাবে
রপ্ত করুন PHP কে। অনেক কাজে দিবে। নিচের সাইট গুলো
থেকে PHP শিখুন।
PHP Tutorial
Web Sites
SQL
ডাটাবেজ কে
কন্ট্রোল করার জন্য ও ডায়নামিক সাইট
বানানোর জন্য SQL কে ভাল ভাবে শিখুন। এগুলো কিন্তু জাভাস্ক্রিপ্ট এর মত শুধু বুঝলে হবে
না। এগুলোকে ভাল ভাবে রপ্ত করতে হবে।
SQL Tutorial
Web Sites
WordPress
ওয়ার্ডপ্রেস
কি তা নতুন করে কিছুই বলা লাগবে না। খুবই মজার একটি জিনিস। কম সময়ে কম কষ্টে সাইট বানানো যায় এটা দিয়ে। ওয়ার্ডপ্রেস নিয়ে টেকটিউনস এ
অনেক টিউটোরিয়াল আছে এগুলো থেকে শিখতে পারেন। আমার করা ভিডিও
টিউটোরিয়াল গুলো দেখতে পারেন – ওয়ার্ডপ্রেস
ভিডিও টিউটোরিয়াল
Web Server/ Hosting
Hosting সম্পর্কে ধারনা নেওয়া কোন ব্যাপারই না। যেটা জানতে চান YouTube এ গিয়ে শুধু সার্চ দেন। যেমন আপনি যদি কিভাবে সাব ডোমেইন বানাতে হয়
জানতে চান। YouTube এ গিয়ে সার্চ দিন “How to create sub domain” অথবা Cpanel Tutorial লিখে সার্চ দিলেও সিপ্যানেল বা হোস্টিং সম্পর্কিত টিউটরিয়াল পাবেন।‘চীনের মহাপ্রাচীর পূর্বঘোষিত দৈর্ঘ্যের দ্বিগুণ’
ঢাকা, জুন ০৭ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- চীনের মহাপ্রাচীরের দৈর্ঘ্য
পূর্বঘোষিত দৈর্ঘ্যের দ্বিগুণেরও বেশি বলে আনুষ্ঠানিকভাবে দাবি করেছে চীন।
এবারই প্রথম মহাপ্রাচীরের একটি সুনির্দিষ্ট দৈর্ঘ্য ঘোষণা করা হলো।
মঙ্গলবার চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম সিনহুয়ার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ পেয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি অনলাইন।
সাম্প্রতিক রাষ্ট্রীয় জরিপের ফলাফলে মহাপ্রাচীরের দৈর্ঘ্য ২১ হাজার ১শ’ ৯৬ দশমিক ১৮ কিলোমিটার (১৩ হাজার ১শ’ ৭০ দশমিক ৬৯৫৬ মাইল) পাওয়া গেছে।
সিনহুয়া জানিয়েছে, এবারই প্রথম মহাপ্রাচীরের একটি সুনির্দিষ্ট মাপ ঘোষণা করা হলো।
এর আগে ২০০৯ সালে এক প্রাথমিক গবেষণায় প্রাচীরটির দৈর্ঘ্য ৮ হাজার ৮শ’ ৫০ কিলোমিটার বলে ঘোষণা করা হয়েছিল।
চীনের মহাপ্রাচীর বিশ্বে মানুষের তৈরি সবচেয়ে বড় স্থাপনা। শত্রুর হামলা থেকে চীনের উত্তর সীমান্তকে রক্ষা করার উদ্দেশ্যে প্রাচীরটি নির্মাণ করা হয়েছিল।
২০০৭ সাল থেকে শুরু হওয়া এক পুরাতাত্ত্বিক জরিপের ওপর ভিত্তি করে চীনের রাষ্ট্রীয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য দপ্তর (অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অব কালচারাল হ্যারিটেজ) প্রাচীরের নবনির্ধারিত দৈর্ঘ্য ঘোষণা করে।
প্রাচীরের এর আগে প্রকাশিত দৈর্ঘ্যগুলো ঐতিহাসিক দলিলের ওপর ভিত্তি করে ঠিক করা হয়েছিল।
যিশু খ্রিস্টের জন্মের ৫শ’ বছর আগে মহাপ্রচীরের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। তখন অনেকগুলো আলাদা আলাদ প্রাচীর তৈরি করা হয়েছিল। ২২০ খ্রিস্টপূর্ব সালে কিন শি হুয়াঙের আমলে বিচ্ছিন্ন প্রাচীরগুলো জুড়ে দিয়ে একটি মহাপ্রাচীরে পরিণত করা হয়।
প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, বর্তমানে আসল প্রাচীরটির মাত্র ৮ দশমিক ২ শতাংশ অংশ অক্ষত আছে, বাকী অংশ ভগ্নপ্রায়।
১৯৮৭ সালে ইউনেস্কো চীনের মহাপ্রাচীরটিকে বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ বলে ঘোষণা করে।
মঙ্গলবার চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম সিনহুয়ার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ পেয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি অনলাইন।
সাম্প্রতিক রাষ্ট্রীয় জরিপের ফলাফলে মহাপ্রাচীরের দৈর্ঘ্য ২১ হাজার ১শ’ ৯৬ দশমিক ১৮ কিলোমিটার (১৩ হাজার ১শ’ ৭০ দশমিক ৬৯৫৬ মাইল) পাওয়া গেছে।
সিনহুয়া জানিয়েছে, এবারই প্রথম মহাপ্রাচীরের একটি সুনির্দিষ্ট মাপ ঘোষণা করা হলো।
এর আগে ২০০৯ সালে এক প্রাথমিক গবেষণায় প্রাচীরটির দৈর্ঘ্য ৮ হাজার ৮শ’ ৫০ কিলোমিটার বলে ঘোষণা করা হয়েছিল।
চীনের মহাপ্রাচীর বিশ্বে মানুষের তৈরি সবচেয়ে বড় স্থাপনা। শত্রুর হামলা থেকে চীনের উত্তর সীমান্তকে রক্ষা করার উদ্দেশ্যে প্রাচীরটি নির্মাণ করা হয়েছিল।
২০০৭ সাল থেকে শুরু হওয়া এক পুরাতাত্ত্বিক জরিপের ওপর ভিত্তি করে চীনের রাষ্ট্রীয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য দপ্তর (অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অব কালচারাল হ্যারিটেজ) প্রাচীরের নবনির্ধারিত দৈর্ঘ্য ঘোষণা করে।
প্রাচীরের এর আগে প্রকাশিত দৈর্ঘ্যগুলো ঐতিহাসিক দলিলের ওপর ভিত্তি করে ঠিক করা হয়েছিল।
যিশু খ্রিস্টের জন্মের ৫শ’ বছর আগে মহাপ্রচীরের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। তখন অনেকগুলো আলাদা আলাদ প্রাচীর তৈরি করা হয়েছিল। ২২০ খ্রিস্টপূর্ব সালে কিন শি হুয়াঙের আমলে বিচ্ছিন্ন প্রাচীরগুলো জুড়ে দিয়ে একটি মহাপ্রাচীরে পরিণত করা হয়।
প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, বর্তমানে আসল প্রাচীরটির মাত্র ৮ দশমিক ২ শতাংশ অংশ অক্ষত আছে, বাকী অংশ ভগ্নপ্রায়।
১৯৮৭ সালে ইউনেস্কো চীনের মহাপ্রাচীরটিকে বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ বলে ঘোষণা করে।
Subscribe to:
Posts (Atom)