Ads 468x60px

Thursday, 7 June 2012

‘চীনের মহাপ্রাচীর পূর্বঘোষিত দৈর্ঘ্যের দ্বিগুণ’

ঢাকা, জুন ০৭ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- চীনের মহাপ্রাচীরের দৈর্ঘ্য পূর্বঘোষিত দৈর্ঘ্যের দ্বিগুণেরও বেশি বলে আনুষ্ঠানিকভাবে দাবি করেছে চীন। এবারই প্রথম মহাপ্রাচীরের একটি সুনির্দিষ্ট দৈর্ঘ্য ঘোষণা করা হলো।

মঙ্গলবার চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম সিনহুয়ার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ পেয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি অনলাইন।

সাম্প্রতিক রাষ্ট্রীয় জরিপের ফলাফলে মহাপ্রাচীরের দৈর্ঘ্য ২১ হাজার ১শ’ ৯৬ দশমিক ১৮ কিলোমিটার (১৩ হাজার ১শ’ ৭০ দশমিক ৬৯৫৬ মাইল) পাওয়া গেছে।

সিনহুয়া জানিয়েছে, এবারই প্রথম মহাপ্রাচীরের একটি সুনির্দিষ্ট মাপ ঘোষণা করা হলো।

এর আগে ২০০৯ সালে এক প্রাথমিক গবেষণায় প্রাচীরটির দৈর্ঘ্য ৮ হাজার ৮শ’ ৫০ কিলোমিটার বলে ঘোষণা করা হয়েছিল।

চীনের মহাপ্রাচীর বিশ্বে মানুষের তৈরি সবচেয়ে বড় স্থাপনা। শত্রুর হামলা থেকে চীনের উত্তর সীমান্তকে রক্ষা করার উদ্দেশ্যে প্রাচীরটি নির্মাণ করা হয়েছিল।

২০০৭ সাল থেকে শুরু হওয়া এক পুরাতাত্ত্বিক জরিপের ওপর ভিত্তি করে চীনের রাষ্ট্রীয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য দপ্তর (অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অব কালচারাল হ্যারিটেজ) প্রাচীরের নবনির্ধারিত দৈর্ঘ্য ঘোষণা করে।

প্রাচীরের এর আগে প্রকাশিত দৈর্ঘ্যগুলো ঐতিহাসিক দলিলের ওপর ভিত্তি করে ঠিক করা হয়েছিল।

যিশু খ্রিস্টের জন্মের ৫শ’ বছর আগে মহাপ্রচীরের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। তখন অনেকগুলো আলাদা আলাদ প্রাচীর তৈরি করা হয়েছিল। ২২০ খ্রিস্টপূর্ব সালে কিন শি হুয়াঙের আমলে বিচ্ছিন্ন প্রাচীরগুলো জুড়ে দিয়ে একটি মহাপ্রাচীরে পরিণত করা হয়।

প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, বর্তমানে আসল প্রাচীরটির মাত্র ৮ দশমিক ২ শতাংশ অংশ অক্ষত আছে, বাকী অংশ ভগ্নপ্রায়।

১৯৮৭ সালে ইউনেস্কো চীনের মহাপ্রাচীরটিকে বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ বলে ঘোষণা করে।

No comments:

Post a Comment

 

Sample text

Sample Text

Sample Text